মেহেরপুরে ধলা গ্রামে পূর্বশত্রুতার জেরে ভোট চাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, নিহত ২ আহত ১৫
এম এ লিংকন মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি : মেহেরপুরে পূর্বশত্রুতার জেরে এবং আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট চাওকে কেন্দ্র করে দু'গ্রুপের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় বাবলু, রুহুল আমীন, শহিদুল, লাভলু ও মোমিনুল, টুটুলসহ উভয় পক্ষের আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। ঘটনাটি ঘটেছে গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড ধলাগ্রামে। সোমবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, ধলা গ্রামের সুলতানের ছেলে জাহারুল ইসলাম (৫০) ও সাহারুল ইসলাম (৪৫)। নিহতরা মেম্বার পদপ্রার্থী টুটুলের মামাতো ভাই। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধলাগ্রামের মেম্বার পদপ্রার্থী আতিয়ার গ্রুপ ও মেম্বার পদপ্রার্থী টুটুল গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দন্দ চলে আসছে। প্রথম সহিংসতায় রুপ নেয় ১৯৯৭ সালে। ওই সময় টুটুল গ্রুপের লোকজন আতিয়ার রহমানের ভাই মাছেদ আলীকে হত্যা করে। এরপর কয়েক বছর পর আতিয়ার গ্রুপের লোকজন টুটুলের আপন ভাই ছেন্টুকে হত্যা করে। ওই ঘটনার ৩/৪ বছর পরে আবারো টুটুলের আরেক ভাই এনামুল হক নইলুকে হত্যা করে আতিয়ার গ্রুপের লোকজন। তাদের দু'গ্রুপের মধ্যে ছোট খাট সংঘর্ষ লেগেই থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার সকালে উভয় গ্রুপের মধ্যে আবারো সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে টুটুলের মামাতো দুই ভাই জাহারুল ও সাহারুল নিহত হয়। এঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় আবারো ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এ বিষয়ে আতিয়ার রহমান জানান, আজ সোমবার সকালে আমার কর্মীরা ধলাগ্রামের বড় পুকুর এলাকায় ভোট চাইতে গেলে টুটুল গ্রুপের লোকজন আমার এক কর্মীকে পিটিয়ে আহত করে। আমি সংবাদ পেয়ে সেখানে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করতে চাইলে তারা আমাকেও মারধর করে। এসময় টুটুল গ্রুপের লোকজনের সাথে আমার কর্মীদের সংঘর্ষ লেগে যায়। টুটুল মেম্বার আহত থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে।